মানবাধিকার আইন হলো এমন এক আইনগত কাঠামো, যা মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে রক্ষা ও নিশ্চিত করে।
জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই আইনগুলো সকল নাগরিক, এমনকি বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালে গৃহীত “Universal Declaration of Human Rights (UDHR)” মানবাধিকার সংরক্ষণের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
এই ঘোষণার আওতায় প্রবাসীদেরও নিশ্চিত হওয়া উচিত:
✔️ স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার
✔️ কাজের ন্যায্য পরিবেশ ও ন্যায্য মজুরি
✔️ স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা
✔️ আইনের চোখে সমান অধিকার
✔️ অমানবিক ও অপমানজনক আচরণ থেকে মুক্তি
✔️ বিচারপ্রাপ্তির অধিকার
বাংলাদেশ সংবিধানের ১১ থেকে ৪৪ অনুচ্ছেদে বিভিন্ন মানবাধিকার সংরক্ষণের বিষয় উল্লেখ আছে।
তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ:
🔸 অনুচ্ছেদ ৩২ – জীবনের অধিকার ও ব্যক্তিস্বাধীনতা
🔸 অনুচ্ছেদ ৩৩ – গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কে সুরক্ষা
🔸 অনুচ্ছেদ ৩৫ – নিষ্ঠুর ও অমানবিক শাস্তি থেকে সুরক্ষা
🔸 অনুচ্ছেদ ৩৯ – মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
🔸 অনুচ্ছেদ ৪০ – পেশা বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা
🔸 অনুচ্ছেদ ৪১ – ধর্মীয় স্বাধীনতা
প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের কর্মস্থল বা বসবাসরত দেশে যদি:
📌 জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য হন
📌 শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের শিকার হন
📌 চুক্তিভঙ্গ বা প্রতারণার শিকার হন
📌 মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হন
তাহলে তা মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে।
প্রবাসী অধিকার কল্যাণ সংস্থা (প্রকস) মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ায়:
✅ প্রাথমিক আইনি পরামর্শ
✅ অভিযোগ গ্রহণ ও ডকুমেন্টেশন
✅ দূতাবাস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়
✅ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সহায়তা চাওয়া
✅ সামাজিকভাবে বিষয়টি উত্থাপন করে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা
🟢 আপনি বা আপনার কোনো প্রবাসী আত্মীয়-স্বজন যদি মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হন:
🔹 চুপ থাকবেন না
🔹 তথ্য সংরক্ষণ করুন
🔹 প্রকস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করুন
প্রবাসী ভাই ও বোনেরা, আপনারা একা নন—প্রকস আপনাদের পাশে আছে।
যোগাযোগ করুন, কথা বলুন, অভিযোগ জানান।
আমরা আছি মানবাধিকারের পক্ষে, প্রবাসীর পক্ষে।
📞 হটলাইন: Whatsapp/ IMO : 01733 258282
🌐 ওয়েবসাইট: www.poksbd.org